গৃহদাহ চলচ্চিত্র একটি বাংলা ছবি যা পরিচালনা করেন সুবোধ মিত্র। এই চলচ্চিত্রটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস গৃহদহ অবলম্বনে নির্মিত। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৭ সালে উত্তম কুমার ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন রবীন চট্টোপাধ্যায়। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, প্রদীপ কুমার।
গৃহদাহ চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — নিউ থিয়েটার্স।
- কাহিনি – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া।
- চিত্রগ্রহণ — বিমল রায়।
- শব্দগ্রহণ — মুকুল বসু।
- শিল্প নির্দেশনা – অনাথ মৈত্র, পুলিন ঘোষ
- সম্পাদনা— সুবোধ মিত্র।
- সংগীত পরিচালনা — রাইচাঁদ বড়াল।
- গীতিকার — অজয় ভট্টাচার্য।
- নেপথ্য সংগীত—কৃষ্ণচন্দ্ৰ দে, অহি সান্যাল।
অভিনয়:
প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া, যমুনা দেবী, মলিনা দেবী, বিশ্বনাথ ভাদুড়ী, অমর মল্লিক, কৃষ্ণচন্দ্র দে, হরিমতি দেবী, বোকেন চট্টোপাধ্যায়, অহি সান্যাল, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, পণ্ডিত শোর, পৃথ্বীরাজ কাপুর, সিতারা দেবী, কৃষ্ণ দাস, অনুপম ঘটক।
কাহিনি:
গরিব মহিম (প্রমথেশ) এবং ধনী সুরেশ (বিশ্বনাথ) দুই বন্ধু। মহিমের সাথে পরিচয় হয় কেদারবাবুর (অমর) কন্যা অচলার (যমুনা)। ভিন্ন সমাজের লোক হলেও অচলা অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন অবস্থায় বড় হয়েও মহিমকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সুরেশ আপত্তি করা সত্ত্বেও মহিম বিয়েতে রাজি হয়।
সুরেশ অচলার বাবা কেদারবাবুর সাথে দেখা করে মহিমের আর্থিক অবস্থার কথা জানায়। এবং মহিমের আর্থিক অবস্থার কথা জেনে রুষ্ট কেদার তাকে ভর্ৎসনা করেন। সুরেশ প্রাথমিক ভাবে মহিম ও অচলার সম্ভাব্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য কেদারবাবুর বাড়ি গেলেও পরবর্তী কালে সে নিজেও অচলার প্রেমে পড়ে এবং কেদারবাবুর কাছে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। অচলা পিতার অর্থলোভের কথা জানত। সে পিতাকে এবং সুরেশকে তিরস্কার করে।
মহিমের সাথে অচলার বিয়ে হয় এবং তারা মহিমের গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। মহিমের সম্পর্কিত বিধবা বোন মৃণালকে (মলিনা) দেখে অচলার মনে সংশয় উপস্থিত হয়। মৃণাল বিষয়টি বুঝতে পেরে ঐ বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। অচলা ও মহিমের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ নিয়ে সুরেশ অচলাকে নিয়ে গ্রাম থেকে কলকাতায় চলে আসে।
মহিম অসুস্থ হয়ে পড়লে সুরেশ তাকে কলকাতায় নিয়ে আসে। মৃণাল ও সুরেশের অক্লান্ত সেবায় তার রোগমুক্তি হয়। অচলাও মহিমের কাছে ফিরে আসে।
আবার অচলা ও মহিমের মধ্যে ভাঙন ধরিয়ে সুরেশ এক প্রকার জোর করেই অচলাকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সেখানে বাস করতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত সুরেশ নিজের ভুল বুঝতে পারে এবং আর্তের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে।
সুরেশের শেষ শয্যার পাশে উপস্থিত হয় মহিম ও অচলা।
আরও দেখুনঃ