ঘুমিয়ে আছে গ্রাম চলচ্চিত্র নিয়ে আজকের আলোচনা। কৃষি বনাম শিল্প বিভেদকে কেন্দ্র করে পিতা পুত্রের বিরোধ এই ছবির প্লট। ছবিটি প্রযোজনা করেছিল শৈলজানন্দ চিত্র প্রতিষ্ঠান।
ঘুমিয়ে আছে গ্রাম চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – শৈলজানন্দ চিত্র প্রতিষ্ঠান।
- কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা — শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়।
- সংগীত পরিচালনা – শৈলেশ দত্তগুপ্ত।
- গীতিকার- মোহিনী চৌধুরী।
- চিত্রগ্রহণ – সুধীর বসু, সুরেশ দাস, পঞ্চ চৌধুরী, মুরারী ঘোষ, দশরথ বিশাল।
- শব্দগ্রহণ— জে. ডি. ইরানী।
- শিল্প নির্দেশনা বটু সেন।
- সম্পাদক — শ্যাম দাস।
- কণ্ঠ সংগীত — কল্যাণী দাস।
অভিনয় :
অহীন্দ্র চৌধুরী, সময় রায়, অনুভা গুপ্তা, রেদুকা রায়, বিপিন গুপ্ত, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, প্রবোধ মুখোপাধ্যায়, ধীরেশ মজুমদার, সুজিত চক্রবর্তী, সুধীর চট্টোপাধ্যায়, যতীন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবন মুখোপাধ্যায়, অলকা দেবী, সুধা রায়।
কাহিনি:
বীরভূম জেলার রামচন্দ্রপুরের দেবী রায় (অহীন্দ্র) ছিলেন সম্পন্ন কৃষক। জমিদারের সাথে বিরোধে জড়িয়ে মামলায় সর্বস্বান্ত হন এমনকী তাঁর তিন বছর জেল হয়। দেবী রায়ের ছেলে রাফজী নামে সমধিক পরিচিত, সহকারী বিপিনের সহযোগিতায় ম্যাজিক দেখিয়ে সংসার চালান। রায়জীর একটি সন্তান রাজা (সমর)। রায়জীর ইচ্ছে রাজা বি. এ. পাস করে ভালো চাকরি করে দেশে জমি জমা কিনবে। তাঁর জীবনে অতীতের অবস্থা আবার ফিরে আসবে। ভবিষ্যতে তিনি পুত্রের কল্যাণে আবার ভূসম্পত্তির মালিক হবেন। রাজা মনে করে কৃষিকাজ নয়, শিল্পায়নের পথেই উন্নতি সম্ভব, কৃষি বনাম শিল্প এই বিভেদকে কেন্দ্র করেই পিতা পুত্রের বিরোধ ঘটে।

শেষ পর্যন্ত বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজার সাথে রানির (অনুভা) পরিচয় এবং পিতা পুত্রের মিলনে ছবির পরিসমাপ্তি।
আরও দেখুনঃ