ছেলে কার চলচ্চিত্র ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক চিত্ত বসু পরিচালিত এবং চরণ চিত্রা প্রযোজিত ১৯৫৪ সালের বাংলা প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৫৪ সালে বাংলায় সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারে রাষ্ট্রপতির রৌপ্য পদক লাভ করে। চলচ্চিত্রটি অশোক কুমার ও মীনা কুমারী অভিনীত হিন্দিতে বান্দিশ নামে পুনর্নির্মিত হয়। চলচ্চিত্রটি তামিলে ইয়ার পাইয়ান এবং মালায়ালামে ভাগ্যেমুদ্রা নামে পুনর্নির্মিত হয়।
ছেলে কার চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান
- প্রযোজনা – চারুচিত্র কাহিনি ও চিত্রনাট্য জ্যোতির্ময় রায়।
- পরিচালনা – চিত্ত বসু।
- সংগীত পরিচালনা — কালীপদ সেন।
- চিত্রগ্রহণ – ধীরেন দে।
- শিল্প নির্দেশনা – কার্তিক বসু।
- শব্দগ্রহণ —— লোকেন বসু, তপন ঘোষ
- সম্পাদনা – কমল গঙ্গোপাধ্যায়।
- গীতিকার — শিশির সেন, জ্যোতির্ময় রায়।
অভিনয়-
বাবুয়া, বিকাশ রায়, অরুন্ধতী দেবী, ছবি বিশ্বাস, সুপ্রভা মুখোপাধ্যায়, অমর মল্লিক, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, জীবেন বসু, মায়া মুখোপাধ্যায়, তুলসী চক্রবর্তী, শুভেন মুখোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, প্রীতি মজুমদার, অজিত চট্টোপাধ্যায়, জহর রায়, ভানু রায়, সাধনা রায়চৌধুরী, আশা দেবী।
কাহিনি—
ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র টমেটো (বাবুৱা) বাবা-মাকে হারিয়ে যোগেনের আশ্রয়ে আছে। অসুস্থ যোগেন নিজের শেষ সময় উপস্থিত বুঝতে পেরে তাকে কুণালের (বিকাশ) ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়, টমেটোকে জানায় কুণালই তার বাবা। শিশু টমেটো কুণালকেই বাবা বলে মেনে নেয়। কুশাল বিত্তবান বাবার (ছবি) একমাত্র সন্তান, প্রতিদিন নতুন নতুন মেয়ের প্রেমে পড়াই তার স্বভাব। কুণালকে তার বাবা বিশ্বাস না করলেও মা (সুপ্রভা) সস্তান স্নেহে অন্ধ।
কুণাল টমেটোকে নিজের ঘাড় থেকে নামানোর জন্য তার একদা প্রেমিক লীলার (অরুন্ধতী) ঘাড়ে চাপাবার চেষ্টা করে। টমেটোর কাছে মা হিসাবে লীলার পরিচয় দেয়। টমেটো লীলাকে মা হিসাবে মেনে নেয়। অবিবাহিতা লীলা টমেটোর দায়িত্ব নিতে কুণালকে বাধ্য করে এবং কুশাল টমেটোকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
শেষ পর্যন্ত টমেটোর চাপে এবং কুণালের বাবা মায়ের ইচ্ছেয় একটি মজার পরিস্থিতির মধ্যে কুণাল ও লীলার প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী হয়ে ওঠার সম্ভাবনায় ছবি শেষ হয়। ছবিটি তৎকালীন সময়ে সমঝদার দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছিল।

পুরস্কার
ছবিটি ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষায় নির্মিত শ্রেষ্ঠ ছবি হিসাবে রাষ্ট্রপতির রৌপ্য পদক লাভ করে।
আরও দেখুনঃ