জতুগৃহ চলচ্চিত্র

জতুগৃহ চলচ্চিত্র হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন তপন সিনহা। সুবোধ ঘোষের জতুগৃহ উপন্যাসের অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৪ সালের ২০ শে মার্চ উত্তম কুমার ফিল্মস প্রাঃ লিঃ ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন আশিস খাঁ। এই কাহিনীর ভিত্তিতে গুলজার পরিচালিত ১৯৮৭ সালে পুনর্নির্মিত হয় ইজাজাত ছবি। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, অরুন্ধতী দেবী, অনিল চট্টোপাধ্যায়, বিকাশ রায়।

জতুগৃহ চলচ্চিত্র

জতুগৃহ চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

  • প্রযোজনা — উত্তমকুমার ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড।
  • কাহিনি— সুবোধ ঘোষ।
  • চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – তপন সিংহ।
  • সংগীত পরিচালনা – আশীষ খাঁ।
  • চিত্রগ্রহণ – বিমল মুখোপাধ্যায়।
  • শিল্প নির্দেশনা – সুনীতি মিত্র।
  • সম্পাদনা – সুবোধ রায়।
  • শব্দগ্রহণ অতুল চট্টোপাধ্যায়, নৃপেন পাল, দেবেশ ঘোষ।
  • গীতিকার – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
  • নেপথ্য সংগীত — বন্দনা সিংহ, শ্যামল মিত্র।

 

অভিনয় :

উত্তমকুমার, অরুন্ধতী – দেবী, বীরেশ্বর সেন, বঙ্কিম ঘোষ, জপনাথ চক্রবর্তী, শৈলেন মুখোপাধ্যায়, অজিত গঙ্গোপাধ্যায়, রথীন ঘোষ, রসরাজ চক্রবর্তী, সাধন সেনগুপ্ত, বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়, গীতা দে, স্মিতা সিংহ।

 

জতুগৃহ চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

কাহিনি:

শতদল (উত্তম) ও মাধুরী (অরুন্ধতী) পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। তাদের ভালোবাসার সংসারে কোনো সন্তান আসে নি, ক্রমশ তাদের দাম্পত্য একঘেয়েমিতে পরিণত হয়। শতদল সময় কাটানোর জন্য বেছে নেয় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ এবং বিভিন্ন পার্টিতে অংশগ্রহণ করে সে সময় কাটানোর চেষ্টা করে। অন্যদিকে মাধুরী নেয় স্কুলের চাকরি।

তারা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। সাত বছর পর হঠাৎ আবার সাহেবগঞ্জ স্টেশনের ওয়েটিং রুমে তাদের সাক্ষাৎ হয়। শতদল যাচ্ছে কলকাতায় এবং মাধুরী রাজগীর যাওয়ার পথে সাহেবগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন পাল্টানোর বিরতিতে ওয়েটিং রুমে আশ্রয় নেয়। তারা পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে। শতদল ও মাধুরী পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি সম্পন্ন হলেও পুরোনো দিনের তেতো স্মৃতিগুলির কথা মনে রেখে পৃথক থাকারই সিদ্ধান্ত নেয়।

গুলজার ১৯৮৭ সালে এই কাহিনি অবলম্বনে তৈরি করেন হিন্দী ছবি ইজাজত, ছবিটিতে রেখা এবং নাসিরুদ্দিন শাহ যথাক্রমে অভিনয় করেছিলেন মাধুরী এবং শতদলের ভূমিকায়। যদিও হিন্দী ছবিটিতে একজন তৃতীয় নারী (অনুরাধা)র উপস্থিতি এবং একটি ত্রিমুখী প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছিল।

 

Google News জতুগৃহ চলচ্চিত্র
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

 

পুরস্কার:

১৯৬৩ সালে ছবিটি রাষ্ট্রপতির পুরস্কার (সার্টিফিকেট অফ মেরিট) লাভ করে।

 

প্রকাশনা:

এই ছবির চিত্রনাট্য ২০০৪ সালে বিষয় চলচ্চিত্র পত্রিকার ১৫শ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment