জয়া ভাদুড়ী হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী। জয়া ভাদুড়ী ১৯৪৮ সালের ৯ই এপ্রিল মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের জবলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক তরুণকুমার ভাদুড়ী ও মা’র নাম ইন্দিরা ভাদুড়ী। জন্ম জলপাইগুড়িতে হলেও বড় হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ।জয়া ভোপালের সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৬ সালে সারা ভারতের সেরা এনসিসি ক্যাডেট সম্মানে সম্মানিত হন জয়া।
জয়া ভাদুড়ী
পুনা ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় সত্যজিৎ রায় পরিচালিত মহানগর (১৯৬৩) ছবিতে নায়কের বোন বাণীর ভূমিকায়। কিশোর বয়সে সত্যজিৎ রায়ের মহানগর (১৯৬৩) চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেকের পর প্রাপ্ত বয়স্ক চরিত্রে তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের গুড্ডি (১৯৭১)।
এরপর তিনি হৃষিকেশের পরিচালনায় আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। মাত্র আটটি বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেও অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ধন্যি মেয়ে (১৯৭১) ছবিতে নায়িকা মনসার ভূমিকায় উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন। বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন রবি ঘোষ (একলব্য), অজিত লাহিড়ী, তপন সিংহ, রাজা সেন প্রভৃতি পরিচালকের সাথে।
প্রধানত হিন্দী ছবির অভিনেত্রী জয়ার সাথে বিয়ে হয় স্বনামধন্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের। পুত্র অভিষেক বচ্চনও অভিনয়ের সাথেই যুক্ত। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথমবারের মত তার ভবিষ্যৎ স্বামী অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে বংশী বিরজু (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। বিয়ের পর তাকে চলচ্চিত্রে কম অভিনয় করতে দেখা যায়। ১৯৮১ সালে সিলসিলা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তিনি অভিনয় থেকে দীর্ঘ বিরতি নেন।
দীর্ঘদিন বাদে তপন সিংহ পরিচালিত শতাব্দীর কন্যা টেলি ফিল্মে অভিনয়ের পর রাজা সেন পরিচালিত বাংলা ছবি দেশ (২০০২)-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র সুপ্রভার ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করেন। দীর্ঘদিন চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটির চেয়ারপারসন ছিলেন। সমাজবাদী পার্টির হয়ে রাজ্যসভায় সদস্য হিসাবেও কাজ করেছেন।

চলচ্চিত্রপঞ্জি :
- ১৯৬৩ মহানগর
- ১৯৭১ ধন্যি মেয়ে, জননী, আটাত্তর দিন পরে
- ১৯৭৪ সাধু যুধিষ্ঠিরের কড়চা,
- ২০০০ ফিজা ,
- ২০০১ কভি খুশি কভি গম ,
- ২০০২ দেশ,
- ২০০৩ ও কাল হো না হো ।
আরও দেখুনঃ