দ্যা জাপানিজ ওয়াইফ চলচ্চিত্রটি (বাংলা:জাপানি স্ত্রী) ২০১০ সালের ভারতীয়-জাপানি রোমান্টিক নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র, যা পরিচালনা করেছেন বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা অপর্ণা সেন। চলচ্চিত্রটিতে রাহুল বসু, রাইমা সেন ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং জাপানের অভিনেত্রী চিগুসা তাকাকু অভিনয় করেছেন। এটি বাংলা, ইংরেজি এবং জাপানি ভাষায় নির্মিত হয়েছে। ছবিটি মূলত ২০০৮ সালের অক্টোবরে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত ছিল, তবে মুক্তিটি বিলম্বিত হয় ৯ ই এপ্রিল, ২০১০ সাল পর্যন্ত।
গল্পটি একটি গ্রামের তরুণ বাঙালি স্কুল শিক্ষক (রাহুল বসু) তার জাপানি বন্ধুর (চিগুসা তাকাকু) সাথে চিঠিপত্রের দ্বারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং তাঁর জীবনকাল ধরে এই সম্পর্ক নিয়ে সত্য এবং অনুগত ছিলেন, যদিও বাস্তবে কখনও তার সাথে দেখা হয় নি।
জাপানিজ ওয়াইফ চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা —সারেগামা ফিল্মস
- প্রযোজক – সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, অপূর্ব নাগপাল।
- কাহিনি— কুণাল বসু।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – অপর্ণা সেন।
- চিত্রগ্রহণ – অনয় গোস্বামী।
- সংগীত পরিচালনা—সাগর দেশাই।
- শিল্প নির্দেশনা— গৌতম বসু।
- শব্দগ্রহণ — অনুপ মুখোপাধ্যায়।
- সম্পাদনা—রবিরঞ্জন মৈত্র।
অভিনয়:
রাহুল বসু, চিগিসা টাকাকু, রাইমা সেন, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, দেবরঞ্জন নাগ, জগন্নাথ গুহ, সাগ্নিক চৌধুরী।

কাহিনি:
স্নেহময় (রাহুল) সুন্দরবন অঞ্চলে একটি গ্রামের স্কুলের অঙ্কের মাস্টার মশাই। ছেলেবেলায় মাতলা নদীর বন্যায় তার বাবা মা মারা যান। বিধবা মাসি (মৌসুমী) তাকে বড় করে তোলে। পত্রমিতালির মাধ্যমে মেহময়ের সাথে যোগাযোগ হয় জাপানের মেয়ে মিয়াগির (চিগিসা)। চিঠির মাধ্যমেই দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও পরে বিয়ে হয়। তারা একে অন্যকে ছবিতে দেখলেও সামনাসামনি কেউ কাউকে দেখে নি, যদিও মাঝে মাঝে তাদের ফোনে কথা হয়।
স্নেহময়ের মাসির ইচ্ছে ছিল তার বন্ধুর মেয়ে সন্ধ্যার (রাইমা) সাথে তার বিয়ে দেওয়ার, কিন্তু স্নেহময় রাজি হয় নি। বিয়ের কিছুদিন পর সন্ধ্যা এক সন্তান নিয়ে বিধবা হয়, ইতিমধ্যে তার মায়েরও মৃত্যু হয়েছে, ফলে সে স্নেহময়ের মাসির কাছে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। সন্ধ্যা ও তার ছেলে পল্টুর সাথে স্নেহময়ের একটি প্রীতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অন্যদিকে মিয়াগির ইচ্ছা ছিল ভারতে এসে স্নেহময়ের সাথে সংসার করার কিন্তু তার মায়ের মৃত্যু এবং নিজের কর্কট রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অর্থকষ্টের ফলে সেই ইচ্ছা কাজে পরিণত হয় না। মিয়াগির রোগের বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে স্নেহময় কলকাতার ক্যানসার বিশেষজ্ঞর সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে জলে ভিজে অসুস্থ হয়।
সুন্দরবন অঞ্চলে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় এক রকম বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়। স্নেহময়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মিয়াগি ভারতে আসে, স্নেহময়ের বাড়িতে গিয়ে সে উপলব্ধি করে যে সন্ধ্যাও স্নেহময়কে ভালোবেসেছিল। মিয়াগির বিভিন্ন সময়ে পাঠানো উপহার সামগ্রী দিয়ে সন্ধ্যা স্নেহময়ের ঘর সাজিয়ে রেখেছে।
আরও দেখুনঃ