জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায়

জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্ম কলকাতায়। প্রথাগত শিক্ষা স্কুল ফাইনাল পর্যন্ত। প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় তরুণ মজুমদার পরিচালিত বালিকা বধূ (১৯৬৭) ছবিতে। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে প্রায় ২০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায়

 

সাধারণত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসাবে পরিচিত হলেও সুধীর মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ননীগোপালের বিয়ে (১৯৭৩) ছবিতে নায়িকা মানসীর ভূমিকায় উল্লেখযোগ্য অভিনয় করেন। হরিসাধন দাশগুপ্ত পরিচালিত কমললতা (১৯৬৯) ছবিতেও পদ্মার ভূমিকায় তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। স্বামী চিশ্বর রায়ের কাহিনি অবলম্বনে চিত্রত পরিচালিত প্রেমের ফাদে (১৯৭৫) ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি নেপথ্য সংগীত পরিবেশনেও অংশ নেন।

যে সব পরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য তপন সিংহ, তরুণ মজুমদার, হরিসাধন দাশগুপ্ত, সলিল দত্ত, মঙ্গল চক্রবর্তী, গুরু বাগচী প্রভৃতি।

 

Google News জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায়
গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

অভিনেত্রী জুঁই বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়ে অভিনয় করতে গিয়েই। চলচ্চিত্রের অভিনয় এর ফাঁকে তার প্রেমে পড়েন চিন্ময় রায়। জানা যায় শুটিং চলাকালীনই নাকি প্রেম নিবেদন করেছিলেন তিনি।  সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরই ঘটল সেই এক অদ্ভুত কাণ্ড। রোগা, প্যাংলা মতন একটা ছেলে দেখা করতে এল তাঁর সঙ্গে। এবং সটান বিয়ের প্রস্তাব! জুঁই তো অবাক। একদম সাদামাটা চেহারা, আবার অভিনয়ও করে। কিন্তু একেবারে বিয়ের প্রস্তাব। যুবক চিন্ময় রায় একগাল হেসে বললেন, প্রেমে পড়লে বেশিদিন ফেলে রাখতে নেই। টুক করে কথা বলে নিতে হয়! আর তার প্রত্যুত্তরে সেই প্রস্তাব সাগ্রহে গ্রহণ করেন অভিনেত্রী। তারপরই চার হাত এক হয়ে যায় তাদের। দুটি সন্তানও হয়েছিল তার।

 

চলচ্চিত্রপঞ্জি:

  • ১৯৬৭ বালিকা বধূ
  • ১৯৬৮ আপনজন
  • ১৯৬৯ কমললতা,
  • ১৯৭০ রূপসী, এই করেছো ভালো:
  • ১৯৭১ প্রতিবাদ, এখনই, শচীমার সংসার, খুঁজে বেড়াই,
  • ১৯৭২ জনতার আদালত
  • ১৯৭৩ ননীগোপালের বিয়ে,
  • ১৯৭৪ ঠগিনী,
  • ১৯৭৫ প্রেমের ফাঁদে, আলো ও ছায়া, সেলাম মেমসাহেব,
  • ১৯৭৬ ছুটির ঘণ্টা,
  • ১৯৭৭ তিন পরী ছয় প্রেমিক;
  • ১৯৮২ মেঘের পরে মেঘ।
  • ১৯৮৩ এই ছিল মনে,
  • ১৯৯১ আমার সাথী,
  • ২০১১ চারমূর্তি

 

আরও দেখুনঃ

 

Leave a Comment