অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর জীবনী নিয়ে আজ আলাডপ করবো | অনির্বাণ ভট্টাচার্য একজন ভারতীয় বাঙালি মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি অনেক জনপ্রিয় মঞ্চ নাটকে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। মনোজ মিত্র রচিত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত দেবি সর্বমস্তা ছিল তাঁর প্রথম সফল মঞ্চ নাটক।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকগুলি হল অ্যান্টনি সৌদামিনী, নাগমণ্ডলা ( গিরিশ কর্ণাদ এর প্রখ্যাত নাটক), যারা আগুন লাগায়, বিসর্জন, এফএম মহানগর, কারু বাসনা, অদ্য শেষ রজনী, অথৈ ইত্যাদি। ২০১৭ সালে,অদ্য শেষ রজনী তে সেরা অভিনেতা হিসাবে মাহিন্দ্রা এক্সিলেন্স ইন থিয়েটার অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছিলেন।
২০১৫ সালে, তিনি জি বাংলার টেলিফিল্ম কাদের কুলের বউ দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেছিলেন। ঈগলের চোখ চলচ্চিত্র থেকে তিনি বিজন রায় চরিত্রে খ্যাতি পেয়েছিলেন। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য, তিনি ২০১৭ সালে পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতা হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে, তিনি ঘরে বাইরে আজ চলচ্চিত্রের নিখিলেশ চৌধুরীর চরিত্রের জন্য প্রথম সেরা অভিনেতা পুরস্কার পেয়েছিলেন যা সমালোচক এবং শ্রোতাদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য একজন ভারতীয় থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি অনেক জনপ্রিয় থিয়েটার প্রযোজনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর প্রথম সফল থিয়েটার প্রযোজনা ছিল দেবি সর্পমস্তা, মনোজ মিত্র রচিত, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য বাংলা জীবনী
Anirban Bhattacharjee Biography in Bengali | Anirban Bhattacharjee Age, Height, movies
| সম্পূর্ণ নাম | অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharjee) |
| ডাকনাম | অনির্বাণ (Anirban) |
| জন্মতারিখ | ৭ অক্টোবর ১৯৮৬ (7 October, 1986) |
| জন্মস্থান | মিদনাপুর,ওয়েস্ট বেঙ্গল (Midnapur , West Bengal) |
| জীবিকা | থিয়েটার অ্যাক্টর, ফিল্ম অ্যাক্টর, স্ক্রিনপ্লে রাইটার, সিঙ্গার, ডিরেক্টর (Theatre actor Film actor Screenplay writer Singer Director) |
| রাশি | মিথুন |
| বয়স | ৩৫ বছর (35 years) |
| নাগরিকতা | ভারতীয় (Indian) |
শিক্ষাগত যোগ্যতা | |
| বিদ্যালয় | মেদিনীপুরের নির্মল হৃদয় আশ্রম ক্যাথলিক চার্চ উচ্চ বিদ্যালয়। (Nirmal Hriday Ashram Catholic Church High School in Midnapore.) |
| মহাবিদ্যালয় | 2004 তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে থিয়েটার পড়ার জন্য কলকাতায় চলে যান। তিনি নাটকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং ২০০ 2009 সালে ভারত সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকে তরুণ শিল্পী বৃত্তি লাভ করেন।(2004 he moved to Kolkata to study theatre from Rabindra Bharati University. He completed his Master’s in drama and received the Young Artist Scholarship in 2009 from the cultural ministry of the Government of India.) |
| ধর্মীয় তথ্য | |
| ধর্ম | হিন্দু (Hindu) |
| গোত্র | কাশ্যপ (Kashyap) |
শারীরিক পরিসংখ্যান | |
| উচ্চতা | ৬’০” (6’0″) |
| ওজন | ৭৬ কেজি (76kg) |
| চোখের রঙ | কালো (Black) |
| চুলের রঙ | কালো (Black) |
| ট্যাটু | নেই |
জীবিকা তথ্য | |
| প্রথম চলচ্চিত্র | কলকাতার কিং (kolkata-r-king [2013]) |
| পুরষ্কার | নীরদ বরণ স্মৃতি পুরস্কার সুমন মুখোপাধ্যায়ের নাটক রাজা লিয়ারে এডমুন্ডের ভূমিকার জন্য শ্রেষ্ঠ থিয়েটার অভিনেতা (পুরুষ) এর জন্য বিগ বাংলা রাইজিং স্টার পুরস্কার। দেবী সর্পমস্তায় দ্বৈত ভূমিকার জন্য থিয়েটার গ্রুপ স্বপ্না সন্ধনী কর্তৃক শ্যামল সেন স্মৃতি সম্মান। দেবী সর্পমস্তার জন্য সেরা অভিনেতার জন্য সুদ্রক সম্মান। থিয়েটার অভিনয়ের জন্য সুন্দরাম সম্মান।২০১৪ সালে নাগমণ্ডলে দ্বৈত ভূমিকার জন্য সেরা অভিনেতার জন্য জি বাংলা গৌরব পুরস্কার ২০১৭ সালে বর্ষসেরা প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতার জন্য পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস ইস্ট সেরা অভিনেতার জন্য সহায়ক ভূমিকায় ২০১৭ সালে ইগোলার চোখে বিষণ রায় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য থিয়েটারে এক্সেলেন্সের জন্য মেটা অ্যাওয়ার্ড, 2017 সালে অদ্য্যেশ রাজনীতে অ্যামিও চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা 2017 সালে এবেলা সংবাদপত্র দ্বারা আজিও সম্মানআন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কারে (আইবিএফএ) সেরা অভিষেক অভিনেতার পুরস্কার। Nirad Baran Memorial Award BIG Bangla Rising Star award from BIG FM for the best theatre actor(Male) for the role of Edmund in drama Raja Lear by Suman Mukhopadhyay. Syamal Sen Smriti Sanman by theatre group Swapna Sandhani for his dual role in Devi Sarpamasta. Sudrak Samman for Best Actor for Devi Sarpamasta. Sundaram Samman for Theatre Acting.Zee Bangla Gaurab Award for Best Actor for his dual role in Nagamandala in 2014 West Bengal Film Journalists Association Award for Best Promising Actor of The Year in 2017 Filmfare Awards East for Best Actor in a Supporting Role for playing Bishan Roy in Eagoler Chokh in 2017 META Award for Excellence in theatre, Best Actor for playing Amiyo in Awdya Shesh Rajani in 2017 Ajeyo Samman by Ebela newspaper in 2017 Best Debutant Actor award at International Bengali Film Award(IBFA). |
পারিবারিক তথ্য | |
| পরিবার | update soon |
| প্রেমিক/ প্রেমিকা | মধুরিমা গোস্বামী (Madhurima Goswami) |
| স্বামী/স্ত্রী | মধুরিমা গোস্বামী (Madhurima Goswami) |
সম্পত্তি | |
| বাড়ি | কলকাতায় বাড়ি (kolkata, own house) |
পছন্দের তালিকা | |
| খাদ্য | মাটন বিরিয়ানি (mutton biriyani) |
| পানীয় | চা (Tea) |
| রং | কালো, সবুজ (Black, Green) |
| অভিনেতা | উত্তম কুমার, ঋত্বিক ঘটক (Uttam Kumar, Rithik Ghatak) |
| অভিনেত্রী | সুচিত্রা সেন (Suchitra Sen) |
| বই | ছোটো গল্পের বই, কবিতার বই (short story, poems book) |
| লেখক | শেকসপিয়র |
অর্থ | |
| চলচ্চিত্র থেকে পিছু | ৫০-৬০ লাখ (50-60 lakhs) |
| সর্বমোট | ১-৫ মিলিয়ন (1-5 Million) |
Social Profiles | |
কিছু অজানা তথ্য:
১৯৮৬ সালে ৭ই অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের মিদনাপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ছোটো থেকেই স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার কিংবা ফুটবলার বা পাইলট হবেন। পড়া লেখায় খুব বেশি ঝোঁক ছিল না। মাধ্যমিক এ ফার্স্ট ডিভিশন এবং উচ্চ মাধ্যমিক এ কোনো রকম সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করে ২০০৪ সালে কলকাতায় আসেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিনয় বিষয়ে পড়তে। তখন থেকেই শুরু হয় থিয়েটার অ্যাক্টিং। তার থিয়েটার অ্যাক্টিং এ মুগ্ধ হতে অপর্ণা সেন তাকে “আরশিনগর” চলচ্চিত্র তে অভিনয়ের সুযোগ দেন। এর আগে অনির্বাণ ” কলকাতার কিং” চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু সেটি মুক্তি পায়নি।
এর পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মফসসলের ছেলে হয়েও তিনি নিজেকে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। টিভি চলচ্চিত্র জগতে পরিচয় থাকা বাধ্যতা মূলক এই রীতি তিনি পরিবর্তন করে প্রমাণ করেছেন অধ্যাবসায় কঠোর পরিশ্রম এর দ্বারা সফলতা অর্জন করা যায়। অনির্বাণ ভট্টাচার্য আজ বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন সফল অভিনেতা। অনির্বাণ ভট্টাচার্য কলকাতার একজন থিয়েটার এবং চলচ্চিত্র অভিনেতার নাম। তিনি বহু বিখ্যাত প্রেক্ষাগৃহে হাজির হন এবং ২০১৫ সালে একটি বাংলা চলচ্চিত্র কাদের কুলার বউ দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য সাম্প্রতিক হইচইতে নিজের ডিরেক্টর জীবনের সূচনা করেছেন| ডিরেক্টর হিসেবে তার প্রথম ওয়েবসিরিজ হল – মন্দার|
আর পড়ুনঃ