গুলশান আরা আক্তার চম্পা হলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী। তিনি তিন কন্যা চলচ্চিত্রে তার অপর অভিনেত্রী দুই বোন ববিতা ও সুচন্দার সাথে অভিনয় করে পরিচিতি অর্জন করেন। তিনি পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩), অন্য জীবন (১৯৯৫) ও উত্তরের খেপ (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনটি এবং শাস্তি (২০০৫) ও চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
গুলশান আরা আক্তার চম্পা

গুলশান আরা আক্তার চম্পা সম্পর্কে কিছু তথ্য
পুরো নাম | গুলশান আরা আক্তার চম্পা |
জন্ম | ১৯৬৫সালের ৫ জানুয়ারী |
জন্মস্থান | যশোর |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
পেশা | অভিনেত্রী |
উচ্চতা | ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি |
প্রারম্ভিক জীবন
চম্পা ১৯৬৫সালের ৫ জানুয়ারী যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।

চলচ্চিত্রে আগমন
চম্পা প্রথমে মডেলিং-এর মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর টিভি নাটকে অভিনয় করতে থাকেন এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।শিবলী সাদিক পরিচালিত তিন কন্যা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চম্পা চলচ্চিত্রের জগতে আগমন করেন। এই চলচ্চিত্রে তারা তিন বোন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা একত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রে একটি গানও ছিল “তিন কন্যা এক ছবি”। তিনি সত্যজিত রায়ের ছেলে সন্দ্বীপ রায়ের ‘টার্গেট’ সিনেমাতে এবং বুদ্ধদেব দাশ গুপ্তের ‘লালদরজা’ সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পান। গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্র ছিল তার সবচেয়ে বড় মাপের কাজ। ১২ বছরের ক্যারিয়ারে প্রায় ১০০-এর বেশি সিনেমাতে তিনি অভিনয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি পর্দায় অনুপস্থিত।

ব্যক্তিগত জীবন
২০১৪ সালে কাজের অনুকূল পরিবেশ আর বৈচিত্র্যময় চরিত্র না পাওয়ায় তিনি সিনেমাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। তাছাড়া চম্পার মেয়ে কানাডায় থাকে যাকে সময় দেয়ার জন্য প্রায়ই তিনি দেশের বাইরে থাকেন। যে কারণে কাজ করা হয়ে উঠছে না। চম্পা ইদানীং টেলিভিশনের বাংলা নাটকেও কাজ করছেন।বাচসাস ৩৮তম আসরের পুরস্কার বিজয়ী ছিলেন ববিতা (২০১২) ও চম্পা (২০১৩)। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সুচন্দা। ২০১১ ও ২০১২ সালে সেরা পাশ্বচরিত্র হিসেবে নির্বাচিত হন ববিতা ও চম্পা।

পুরস্কার ও সম্মাননা
চম্পা ৪ বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৫ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
চম্পাকে নিয়ে সমালোচনা
চম্পা ৯০ দশকের শেষ দিকে এসে বিতর্কিত কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সমালোচিত হন। যদিও প্রথম দিকেই সুপারহিট ‘প্রেম দিওয়ানা’ ছবিতে মান্নার সাথে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেন। তবে ‘ভয়ঙ্কর বিষু’ ছবিতে ডিপজলের সাথে সংক্ষিপ্ত পোশাকে বিতর্কিত গানে আর ‘বিপ্লবী জনতা’ চলচ্চিত্রে ধর্ষণ দৃশে অভিনয় করে তুমুল সমালোচনার মুখে পরেন। চম্পা নিজেকে আবেদনময়ি ও সাহসী নায়িকা হিসাবে তুলে আনার চেষ্টা করেন, যা দর্শকরা ভাল ভাবে নেয়নি। তারপরও বেশ কিছু ছবিতে খোলামেলা পোশাকে অভিনয় করে সমসাময়িক নায়িকাদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামেন।’ভয়াবহ’ ছবিতে বিতর্কিত নায়িকা মুনমুন এর সাথে পাল্লা দিয়ে অতিরিক্ত আবেদনশীল পশ্চিমা পোশাক পরে উপস্থিত হন।
আরও দেখুনঃ