অধিকার চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা- চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া। এতে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিমিরবরণ ভট্টাচার্য। এতে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রাণী হালদার, নির্মাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেশ রায়চৌধুরী, মনু মুখোপাধ্যায়, অর্জুন ভট্টাচার্য ।ছবিটি ১৯৯৮ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় নির্বাচিত হয়েছিল।
রাধা পাড়া-সম্পর্কিতা পিসিমার সাথে একটি বস্তিতে থাকে। রাধা হঠাৎ জানতে পারে যে সে এবং ইন্দিরা দুই বোন এবং সে ইন্দিরার পিতার অর্জিত অর্ধেক সম্পত্তির দাবি করে। ইন্দিরা পত্র মারফত রাধার দাবি জানতে পায় এবং কৌতূহল বশত তার সাথে দেখা করে, নিখিলেশও ইন্দিরার সাথে যায়। নিখিলেশ রাধাকে সহ্য করতে পারে না। রাধা সম্পত্তির অধিকার পাওয়ার পর সে একা হয়ে যায়, রাধা নিঃসঙ্গ বোধ করে। রতনের কাছে আত্মসমর্পণ করে। অন্যদিকে নিখিলেশ ইন্দিরার সাথে দেখা করে, দুজনের ভবিষ্যৎ মিলনের ইঙ্গিতে ছবি শেষ হয়।
অধিকার চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা—নিউ থিয়েটার্স।
- পরিচালনা – প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া।
- সংলাপ–অজয় ভট্টাচার্য।
- সংগীত পরিচালনা—তিমিরবরণ ভট্টাচার্য।
- চিত্রগ্রহণ—ইউসুফ মুলজী।
- শব্দগ্রহণ—অতুল চট্টোপাধ্যায়।
- শিল্প নির্দেশনা—অর্জুন রায়।
- সম্পাদনা—কালী রাহা।
- গীতিকার—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অজয় ভট্টাচার্য।
অধিকার চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেছেন —
প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া, যমুনা দেবী, মেনকা দেবী, পাহাড়ী সান্যাল, রাজলক্ষ্মী দেবী, পঙ্কজকুমার মল্লিক, শৈলেন চৌধুরী, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, চিত্রলেখা দেবী, মন্টু মুখোপাধ্যায়, ঊষাবতী দেবী।
নেপথ্য সংগীত—
পঙ্কজকুমার মল্লিক, পাহাড়ী সান্যাল, মন্টু মুখোপাধ্যায় ৷
অধিকার চলচ্চিত্রের কাহিনি—
রাধা (মেনকা) পাড়া-সম্পর্কিতা পিসিমার সাথে একটি বস্তিতে থাকে। ঐ একই বস্তিতে বাস করে সলিসিটার অম্বিকাপ্রসাদের (শৈলেন) মুহুরি রতন (পাহাড়ী)। রতন ও রাধা পরস্পরের প্রতি দুর্বল। ইন্দিরা (যমুনা) পিতৃমাতৃহীন হলেও প্রয়াত পিতার প্রচুর সম্পত্তির পরের বর্তমানে পিতৃবন্ধু অশ্বিকাপ্রসাদের তত্ত্বাবধানে বাস করে। ইন্দিরা ভালোবাসে অধিকারী। নিখিলেশকে (প্রমথেশ), তাদের ভবিষ্যতে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে।
রাধা হঠাৎ জানতে পারে যে সে এবং ইন্দিরা দুই বোন এবং সে ইন্দিরার পিতার অর্জিত অর্ধেক সম্পত্তির দাবি নিয়ে অম্বিকাপ্রসাদের সাথে দেখা করে এবং তার দাবি সঠিক জানলেও অম্বিকা তাকে প্রত্যাখ্যান করেন।
ইন্দিরা পত্র মারফত রাধার দাবি জানতে পায় এবং কৌতূহল বশত তার সাথে দেখা করে, নিখিলেশও ইন্দিরার সাথে যায়। সুযোগ পেলে রাধা ইন্দিরার সমান হতে পারত শুনে রাধাকে ইন্দিরা তার বাড়িতে নিয়ে আসে। নিখিলেশ রাধাকে সহ্য করতে পারে না। অম্বিকাপ্রসাদ ও রাধার তর্ক আড়াল থেকে শুনে রাধার দাবির সত্যতা ইন্দিরা বুঝতে পারে এবং সমস্ত সম্পত্তি রাধার নামে লিখে দেয়।

রাধা ভেবেছিল সম্পত্তির অধিকার পাওয়ার পর তার সম্বন্ধে নিখিলেশের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটবে, কিন্তু নিখিলেশের ব্যবহার রাধাকে বিস্মিত করে, প্রাথমিক ভাবে রাধার রূপ যৌবনে মুগ্ধ হলেও নিখিলেশ নিজের দুর্বলতাকে জয় করতে পারে। এমনকী কাজের লোকেরাও কাজ ছেড়ে চলে যায়।
প্রকাণ্ড বাড়িতে রাধা নিঃসঙ্গ বোধ করে। বস্তিতে গিয়ে রাধা দেখে রতনও বস্তি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য তৈরি, রাধা সমস্ত সম্পত্তির অধিকার ত্যাগ করে রতনের কাছে আত্মসমর্পণ করে। অন্যদিকে নিখিলেশ ইন্দিরার সাথে দেখা করে, দুজনের ভবিষ্যৎ মিলনের ইঙ্গিতে ছবি শেষ হয়।
আরও দেখুনঃ